রিয়েল তন্ময়ঃ বাংলাদেশ মণিপুরী স্টুডেন্টস সোসাইটির (বি.এম.এস.এস) বার্ষিক সাধারণ সভা গত ২৫/১২/২০২০ তারিখে রোজ শুক্রবার, ভানুবিল (মাঝেরগাঁও),আদমপুর,ভানুগাছ,মৌলভীবাজার,সিলেট মণিপুরী কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজমে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হয় সকাল ১১.০০ ঘটিকায়। উক্ত সভাটির সভাপতিত্ব করেন থোঙাম কেনেজিয়া মাঙাল এবং উক্ত অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন ওয়াই.কে শুভজিৎ সিংহ। সভাটিতে উপস্থিত ছিলেন এডমিন প্যানেল এবং মডারেটর প্যানেলের সকল সদস্যবৃন্দ। সভার শুরুতে উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দরা নিজ নিজ পরিচয় এবং তাদের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মতামত পেশ করেন। পরিচয় পর্ব শেষে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং উক্ত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- ১) ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক দিক নির্দেশনা নিয়ে- এডমিন প্যানেল থেকে এন.রাজু মণি সিংহ। ২) কমিনিকেশন স্কিল নিয়ে- এডমিন প্যানেল থেকে এন. উজ্জল সিংহ এবং ৩) সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম নিয়ে- থোঙাম কেনেজিয়া মাঙাল দিক-নির্দেশনা উপস্থাপন করেন। সেমিনারের পরে গ্রুপ ডিসকাশন পর্যায়ে উপস্থিত সবার সর্বসম্মতিক্রমে গ্রুপের নাম “বাংলাদেশ মীতৈ স্টুডেন্টস সোসাইটি” এর পরিবর্তে “বাংলাদেশ মণিপুরী স্টুডেন্টস সোসাইটি” করা হয়। উক্ত সভায় এডমিন প্যানেলের এন.জি দিজেন্দ্র সিংহ আইটি সেক্টর নিয়ে অপার সম্ভাবনা এবং আইটি বিষয়ক কর্মশালার প্রস্তাব করে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা হয় মণিপুরী সম্প্রদায়ের উন্নতিতে বাংলাদেশ মণিপুরী স্টুডেন্টস সোসাইটি (বি.এম.এস.এস) কি কি ভুমিকা রাখতে পারে এবং সবার সহযোগিতায় কীভাবে এগিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া এ আলোচনায় উঠে আসে মণিপুরী ছাত্র-ছাত্রী, চাকরি-প্রত্যাশীদের বি.এম.এস.এস পরিবার কিভাবে সাহায্য করতে পারে। আসন্ন বাংলাদেশ মণিপুরী স্টুডেন্টস সোসাইটি (বি.এম.এস.এস) মণিপুরী কমিউনিটি সার্ভে নিয়ে আলোচনা হয়। সাথে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ যেমন শীতবস্ত্র বিতরণ, বৃত্তি প্রদান, কুইজে পুরস্কার প্রদান, অনলাইনে কোর্স প্রদান ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হয়। সর্বোপরি সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে বি.এম.এস.এস এগিয়ে যাবে তা সবার কন্ঠে উঠে আসে। সবার মঙ্গল কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় বেলা ০৩.০০ ঘটিকায়। *বাংলাদেশ মীতৈ স্টুডেন্টস সোসাইটি ১১/০৬/২০২০ খ্রীঃ মূলত করোনাকালীন সময়ে মণিপুরী ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উদ্ভব হয়েছে এবং মণিপুরী সমাজের কাছে অতি পরিচিতি লাভ করে। যা অফিসিয়ালভাবে ২৫/১২/২০২০ খ্রীঃ বাংলাদেশ মণিপুরী স্টুডেন্টস সোসাইটি নামে নতুনভাবে নামকরণ করা হয় । উক্ত সংগঠনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিম্নে তুলে ধরা হলো-
সংগঠনের_লক্ষ্য ০১) যুব, শিশু ও নারী কল্যাণ। ০২) সমাজকল্যাণ কাজে প্রশিক্ষণ। ০৩) সমাজকল্যাণ সংস্থা সমূহের সমন্বয় সাধন। ০৪) শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ। ০৫) অসহায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা দান। ০৬) মানবতার শ্রেষ্ঠদান- স্বেচ্ছায় রক্তদান, স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করা। ০৭) সমাজবিরোধী কার্যকলাপ হতে মণিপুরী ছাত্র-ছাত্রীদের বিরত রাখার উদ্দেশ্যে খেলাধুলাসহ বিনোদনমূলক কার্যক্রম শুরু করা।
উদ্দেশ্য_সমূহ- ১) বাংলাদেশের মণিপুরী ছাত্র-ছাত্রী সকলকে এই সংগঠনের আওতায় আনা। ২) গ্রুপের সকল সদস্যদের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা। ৩) বাংলাদেশ বসবাসরত মণিপুরীদের প্রত্যেকটি গ্রামের দরিদ্র সন্তানেরা যেন লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে এই উদ্দেশ্যে কাজ করা। ৪) বাল্যবিবাহ ও মাদক বিরোধী কর্মসূচি পালন করা । ৫) মানবতার শ্রেষ্ঠদান- স্বেচ্ছায় রক্তদান, স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করা। ৬) ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করা ।
এটি একটি সম্পূর্ন অরাজনৈতিক সংগঠন।
সাংগঠনিক কর্মকান্ডে কোন প্রকার রাজনীতিকে সমর্থন করা যাবে না।
বাংলাদেশের মণিপুরী ব্যতীত অপরিচিত কাউকে গ্রুপে সদস্য পদ দেয়া হবে না।
গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত কোন সদস্য কোন ধরনের প্রভাব দেখাতে পারবে না। গ্রুপের কোন সদস্যের বা কমিটির কারো বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড, ইভটিজিং বা নারী নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সদস্যপদ বাতিল ও কমিটি পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ব্যক্তিগতভাবে অপরিচিত, গ্রুপের মাধ্যমে পরিচিতির পর কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন করবেন না কোন লেনদেনের পর অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটলে গ্রুপ দায়ী থাকবে না।
যেহেতু সামাজিক সেবামূলক অরাজনৈতিক গ্রুপ; সুতরাং কখনো সমাজের বহির্ভূত কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্বোপরি, সবাইকে সঠিক অবস্থানে থেকে সমাজের কল্যাণজনক কাজকর্ম করতে হবে এবং সমাজের মধ্যে চরিত্রের মাধুর্যতার প্রভাব সৃষ্টি করতে হবে।
উপরে উল্লেখিত নিয়মাবলি মেনে গ্রুপে আপনার বিচরণ সুন্দর হোক। আপনার নিয়মিত অংশগ্রহণ ও মূল্যবান মতামত প্রদানের মাধ্যমে গ্রুপকে প্রাণবন্ত রাখবেন বলেই আমাদের আশা।
উপরের সকল বিষয় সিদ্ধান্তগুলোকে মেনে নিতে যাদের দ্বিধা রয়েছে তাদের ব্যপারে ”কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে“।
নীতিমালা সংশোধন ও ব্যাখ্যা : কেন্দ্রীয় কমিটির আলোচনার মাধ্যমে এই নীতিমালা সংশোধন (সংযোজন ও বিয়োজনসহ) করা যেতে পারে। কোন বিষয়ে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি তা প্রদান করবে।
Leave a Reply